ইউনেসকোর স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ব ঐতিহ্যজের অংশ হল বাংলার শীতলপাটি

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সিলেটের শীতলপাটি।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউনেসকোর ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের ১২তম অধিবেশনে ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গত বছর ইউনেসকোর এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে চলছে বিশ্বের নির্বস্তুক ঐতিহ্য সংরক্ষণার্থে গঠিত আন্তর্জাতিক পর্ষদের সম্মেলন। এই সম্মেলনের শেষ পর্বে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প শীতলপাটি।
জাতীয় জাদুঘরের সচিব মোহাম্মদ শওকত নবীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন-সিলেট অঞ্চলের দুই বিখ্যাত পাটিকর গীতেশচন্দ্র ও হরেন্দ্রকুমার দাশ। সম্মেলনস্থলে এই দুই পাটিকর তাদের বুননশৈলী উপস্থাপনা করেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া উন্নতমানের শীতল পাটি প্রদর্শন করা হচ্ছে সেখানে। একই সঙ্গে দেশের মানুষের কাছে এই কারুশিল্প তুলে ধরতে জাতীয় জাদুঘরের উদ্যোগে মঙ্গলবার শুরু হয়।

মন্তব্যসমূহ