প্রকৌশলীকে মারধর করে নদীতে নিক্ষেপ সহকারী নিখোঁজ : আটক ৯

নিউজ ডেক্স :-
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক প্রকৌশলী ও তার সহযোগিকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে যুবকরা। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী আরেফিন রনিকে আহত অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সবুজ নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
এঘটনায় ৭ যুবক ও ট্রলারের দুই চালকসহ ৯ জনকে স্থানীয় জেলেরা ধাওয়া করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার দুপুুর ১২টার দিকে ইন্দুরকানী ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী বঙ্গবন্ধু বাজার (গাজীরহাট) সংলগ্ন পানগুচি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক হলেন, হাফিজ হাওলাদার, হাসিব, অহিদুজ্জামান পরশ, সাইফুল রানা, হাফিজুল ইসলাম, মাহামুদ ও হাসিব। এঘটনায় ট্রলারের চালক ছগির ও হাচানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
Amar Bijoy
এদের মধ্যে আটক হাফিজুল, হাসিব ও মাহামুদের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে। এছাড়া ট্রলারের দুই চালকসহ অপর ৪ জনের বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রলারের চালক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় ইন্দুরকানী উপজেলার টগড়া ফেরিঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৬ যুবক। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোড়েলঞ্জের ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাটে গিয়ে পৌঁছায় তারা। এরপর ট্রলারে থাকা ওই যুবকদের সহযোগী অহিদুজ্জামান পরশ নামে এক যুবক সেখান থেকে তাদের ট্রলারে ওঠেন। পরশ খুলনা থেকে ওখানে এসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তাদের সঙ্গে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এর প্রকৌশলী সামছুল আরেফিন রনি ও তার সহযোগী সবুজ ট্রলারে ওঠেন।
ছোলমবাড়িয়া থেকে ট্রলার যোগে ইন্দুরকানী ফেরার পথে পানগুছি নদীর গাজীরহাট সংলগ্ন স্থানে রনি ও সবুজের উপর হামলা চালায় অন্যরা। এসময় তাদের দুজনকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করলে তারা নদীতে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন নদীর কিনার থেকে বিষয়টি দেখে আহত অবস্থায় নদী থেকে সামসুল আরেফিন রনি নামে একজনকে উদ্ধার করে।
রনির বাড়ি খুলনার শেখ পাড়ায়।
এছাড়া অপর যুবক সবুজ পানিতে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারযোগে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে ধরে ওই যুবকদের আটক করে।
রনির বরাত দিয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার এসআই আবু মুছা জানান, রনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার কাছ থেকে একটি বাড়ির নকশা তৈরি করার কল রায়েন্দা নিয়ে যাচ্ছিলেন হাসান নামের এক যুবক। রনির সঙ্গে তার সহকারী হিসেবে খুলনা থেকে এসেছেন সবুজ (৩৪)। তারা ট্রলারযোগে পানগুছি নদী পার হওয়ার সময় অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়।
ট্রলারের চালক ছগির জানান, পাড়েরহাট এলাকার কয়েকজন যুবক আমাকে পিকনিকের কথা বলে ট্রলারটি ভাড়া করে মোড়েলগঞ্জ নিয়ে যায়। এসময় ছোলমবাড়িয়া ঘাট থেকে ৩ জন অপরিচিত লোক আমার ট্রলারে ওঠে। এদের মধ্যে পরশ নামে এক যুবক তাদের পরিচিত ছিল। পরে ট্রলার ছেড়ে পানগুছি নদীর মাঝখানে বসে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রলার থেকে দুই জন নদীতে পড়ে যায়।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশের এসআই আব্দুল আজিজ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ যুবককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ট্রলারের ২ চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জাগো নিউজ

মন্তব্যসমূহ