নিউজ ডেক্স:- একজন
অধ্যক্ষ এখন ‘মাদকসম্রাট’। তিন-তিনবার ইয়াবাসহ আটক হন তিনি। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে, ফলে পুলিশের কাছে আটক হয়েও ক্ষমতার কারণে পার পেয়ে যান। এরপর মাদক হয়ে ওঠে তাঁর নেশা-পেশা। চলতে থাকে নিয়মিত সেবন ও কারবার।
ওই শিক্ষকের নাম শামসুজ্জোহা ওরফে বেলাল। তিনি রাজশাহীর মোহনপুরের মৌগাছী কলেজের অধ্যক্ষ। মাদকের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কথা জানলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবশ্য গত রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা শামসুজ্জোহা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাদকাসক্ত।
এর পরেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে মৌগাছী কলেজে অধ্যক্ষ করা হয় তাঁকে। কলেজটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। ২০০২ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটির শিক্ষার্থীও হাতে গোনা। কলেজটিতে একরকম বিনা বেতনেই চাকরি করেন শিক্ষকরা।
অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহার একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করতে থাকেন। এরপর আয়ের উৎস খুঁজতে খুঁজতে দুই বছর আগে শুরু করেন মাদক কারবার।
জানা যায়, একসময় নিজের অর্থ দিয়েই এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করতেন অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা। তবে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করতে করতে একসময় জড়িয়ে পড়েন মাদকে। শেষে মাদক ব্যবসায়ী বনে যান। এলাকার হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী রুখসানা বেগমের কাছ থেকে মাদক কিনে সেবন করতেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা শুরু, পরে নিজেই ‘মাদকসম্রাট’।
মোহনপুর থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে একবার ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল শামসুজ্জোহাকে। কিন্তু তিনি অধ্যক্ষ হওয়ায় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ১০৪টি ইয়াবাসহ আটক করা হয় শামসুজ্জোহাকে। ওইবারও তাঁকে ছেড়ে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যাপক তদবির করেছিল। কিন্তু পুলিশের কড়া অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরের দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও কয়েক দিন পরেই জামিনে মুক্তি পান শামসুজ্জোহা। এরপর আবারও জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। এরপর গত রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুুুত্ফর রহমান বলেন, মৌগাছী কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা একটি বড় মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানতে পারেন তাঁরা। এরপর তাঁকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। শেষে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ১০টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার-উল-হানিফ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন।
এদিকে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, অধ্যক্ষ হলেও শামসুজ্জোহা দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের সঙ্গে জড়িত। এরপর ক্রমেই তিনি মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
মৌগাছী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘পুলিশের হাতে মাদকসহ ধরা পড়ার পরে আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু কলেজে কমিটি ঝুলে
থাকার কারণে সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ( সিল্কসিটি নিউজ)
অধ্যক্ষ এখন ‘মাদকসম্রাট’। তিন-তিনবার ইয়াবাসহ আটক হন তিনি। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে, ফলে পুলিশের কাছে আটক হয়েও ক্ষমতার কারণে পার পেয়ে যান। এরপর মাদক হয়ে ওঠে তাঁর নেশা-পেশা। চলতে থাকে নিয়মিত সেবন ও কারবার।
ওই শিক্ষকের নাম শামসুজ্জোহা ওরফে বেলাল। তিনি রাজশাহীর মোহনপুরের মৌগাছী কলেজের অধ্যক্ষ। মাদকের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কথা জানলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবশ্য গত রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা শামসুজ্জোহা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাদকাসক্ত।
এর পরেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে মৌগাছী কলেজে অধ্যক্ষ করা হয় তাঁকে। কলেজটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। ২০০২ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটির শিক্ষার্থীও হাতে গোনা। কলেজটিতে একরকম বিনা বেতনেই চাকরি করেন শিক্ষকরা।
অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহার একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করতে থাকেন। এরপর আয়ের উৎস খুঁজতে খুঁজতে দুই বছর আগে শুরু করেন মাদক কারবার।
জানা যায়, একসময় নিজের অর্থ দিয়েই এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করতেন অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা। তবে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করতে করতে একসময় জড়িয়ে পড়েন মাদকে। শেষে মাদক ব্যবসায়ী বনে যান। এলাকার হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী রুখসানা বেগমের কাছ থেকে মাদক কিনে সেবন করতেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা শুরু, পরে নিজেই ‘মাদকসম্রাট’।
মোহনপুর থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে একবার ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল শামসুজ্জোহাকে। কিন্তু তিনি অধ্যক্ষ হওয়ায় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ১০৪টি ইয়াবাসহ আটক করা হয় শামসুজ্জোহাকে। ওইবারও তাঁকে ছেড়ে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যাপক তদবির করেছিল। কিন্তু পুলিশের কড়া অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরের দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও কয়েক দিন পরেই জামিনে মুক্তি পান শামসুজ্জোহা। এরপর আবারও জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। এরপর গত রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুুুত্ফর রহমান বলেন, মৌগাছী কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা একটি বড় মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানতে পারেন তাঁরা। এরপর তাঁকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। শেষে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ১০টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার-উল-হানিফ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন।
এদিকে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, অধ্যক্ষ হলেও শামসুজ্জোহা দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের সঙ্গে জড়িত। এরপর ক্রমেই তিনি মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।
মৌগাছী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘পুলিশের হাতে মাদকসহ ধরা পড়ার পরে আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু কলেজে কমিটি ঝুলে
থাকার কারণে সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ( সিল্কসিটি নিউজ)

মন্তব্যসমূহ