বেতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচজন শিক্ষক রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির চারুকারু ও সংঙ্গীত বিষয়ে পরীক্ষা চলছে। তবে শিক্ষার্থী মাত্র একজন। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আসিফ হোসেন পরীক্ষা দিয়ে খাতা জমা দিল লাইব্রেরিতে বসে থাকা দুইজন শিক্ষকের কাছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ২৭ নং বেতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুধবারের চিত্র এটি। শুধু এই একদিন না বছরের বেশিরভাগ দিনই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এমন উপস্থিতি থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ২৪ জন। অথচ ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছে মোট পাঁচ জন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন নারী। তারা অধিকাংশ সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে আসলেও শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি তাদের তেমন কোনো আন্তরিকতা থাকে না। অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন হাওলাদার প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। যে কারণে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যতে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এখানকার অভিভাবকরা। তবে শিক্ষকরা বলছেন, আশেপাশে বসতি কম ও এই অঞ্চলে বিগত কয়েক বছর ধরে জন্মহার শূন্যের কোঠায় হওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে মো. আল মামুন ও কামরুজ্জান নামের দুইজন শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম, সাদিয়া খানম ও ইসমত জাহান বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম ছুটি নিয়ে বিদ্যালয়ের নতুন বই নেয়ার জন্য ঝালকাঠি রয়েছেন বলে উপস্থিত শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ‘একদিকে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না। অন্যদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন হাওলাদার প্রতিষ্ঠানের দিকে কোন খেয়াল রাখছেন না। তিনি থাকেন ঝালকাঠি শহরের। এই বিদ্যালয়ে জন্য সিলিপের বাবদ (বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র কেনাকাটার করার জন্য বরাদ্ধ) প্রতি বছর ৪০ হাজার টাকা আসে। এই টাকার তেমন কোন কাজ করানো হয় না।
প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের আসে পাশে বসতি কম, মাত্র ৪৫ খানা ঘর আছে যে কারণে শিক্ষার্থী কম। তবে যে কয়জন বিদ্যালয়ে আসে তাদের ভালোভাবে পাঠদান করানো হয়। আর সিলিপের ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি রুম রং করিয়েছি যেখানে প্রায় ২৫ হাজার টাকা লাগছে। আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু আসবাবপত্র কিনেছি।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাহার মিয়া বলেন, ‘এরকম অভিযোগ আমরা আরও পেয়েছি শিক্ষা সংক্রান্ত পরবর্তী মিটিংয়ে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থী কম যেখানে সেখানে যদি বেশি শিক্ষক থাকে সেখান থেকে যেখানে বেশি শিক্ষার্থী আছে সেখানে শিক্ষক বাড়িয়ে দেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ২৪ জন। অথচ ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছে মোট পাঁচ জন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন নারী। তারা অধিকাংশ সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে আসলেও শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি তাদের তেমন কোনো আন্তরিকতা থাকে না। অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন হাওলাদার প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। যে কারণে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যতে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এখানকার অভিভাবকরা। তবে শিক্ষকরা বলছেন, আশেপাশে বসতি কম ও এই অঞ্চলে বিগত কয়েক বছর ধরে জন্মহার শূন্যের কোঠায় হওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে মো. আল মামুন ও কামরুজ্জান নামের দুইজন শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম, সাদিয়া খানম ও ইসমত জাহান বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম ছুটি নিয়ে বিদ্যালয়ের নতুন বই নেয়ার জন্য ঝালকাঠি রয়েছেন বলে উপস্থিত শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ‘একদিকে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না। অন্যদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন হাওলাদার প্রতিষ্ঠানের দিকে কোন খেয়াল রাখছেন না। তিনি থাকেন ঝালকাঠি শহরের। এই বিদ্যালয়ে জন্য সিলিপের বাবদ (বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র কেনাকাটার করার জন্য বরাদ্ধ) প্রতি বছর ৪০ হাজার টাকা আসে। এই টাকার তেমন কোন কাজ করানো হয় না।
প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের আসে পাশে বসতি কম, মাত্র ৪৫ খানা ঘর আছে যে কারণে শিক্ষার্থী কম। তবে যে কয়জন বিদ্যালয়ে আসে তাদের ভালোভাবে পাঠদান করানো হয়। আর সিলিপের ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি রুম রং করিয়েছি যেখানে প্রায় ২৫ হাজার টাকা লাগছে। আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু আসবাবপত্র কিনেছি।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাহার মিয়া বলেন, ‘এরকম অভিযোগ আমরা আরও পেয়েছি শিক্ষা সংক্রান্ত পরবর্তী মিটিংয়ে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থী কম যেখানে সেখানে যদি বেশি শিক্ষক থাকে সেখান থেকে যেখানে বেশি শিক্ষার্থী আছে সেখানে শিক্ষক বাড়িয়ে দেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ