নিজস্ব প্রতিবেদক:-
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে(আরসিআরইউ) ঢুকে ভাংচুর ও সাংবাদিকেদের মারধোর করেছে ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে হঠাতই এ হামলা করে বসে তারা। হুমকি দেয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই বেপোরয়া হয়ে এ হামলা করে তারা। হামলায় আহত হন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্পাদক ও দৈনিক সানশাইন পত্রিকার প্রতিবেদক ওবাইদুল্লাহ মিম, দপ্তর সম্পাদক ও পদ্মা নিউজের সাব এডিটর বাবর মাহমুদ এবং ইউনিটির নির্বাহী সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বরেন্দ্র এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদক বিদ্যুৎ।
আরসিআরইউ’র সদস্যরা জানান, গত রোবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরসিআরইউতে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় তারা আপত্তি জানায়। তাদের ভাষ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন আছে। তাদের সবকটি অফিসে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি আছে আরসিআরইউতে কেন নেই। এরপর তারা আরসিআরইউতে শেখ হাসিনার ছবি লাগাতে বলে। বিষয়টি নিয়ে আরসিআরইউ এর উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলে। তবে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। তবুও বঙ্গবন্ধুর ছবি রিপোর্টার্স ইউনিটে লাগানো নিয়ে অধ্যক্ষের পরামর্শ নিতে অপেক্ষা করেন সদস্যরা।
কিন্তু সোমবার আরসিআরইউতে এসে ছবি কেন লাগানো হয়নি তা জানতে চান রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসিক দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলীসহ আরও অন্তত ২০জন নেতাকর্মী। সেসময় অতিদ্রুত ছবি টাঙ্গানোর কথা বলে যায় তারা। এরই মাঘে উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নেয় আরসিআরইউ এর সদস্যরা। মাত্র বিশ মিনিটের ব্যবধানে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী তার ৭ জন সহযোগীর সাথে আরসিআরইউতে ঢুকে পড়ে। সেখানে থাকা মেয়ে সদস্যদের বাইরে বের করে দিয়ে ছেলে সদস্যদের মারধোর ও অফিস তছনছ করে।
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টর্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ওবাইদল্লাহ মিম বলেন, তাদের আপত্তির কথা ভেবে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমরা তাদের অবগত করি যে এটি আমাদের ব্যাক্তিগত সংগঠন না । বিষয়টি নিয়ে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলবো। এরপর ঘটনাটি আমাদের উপদেষ্টাদের মোবাইল ফোনে জানাচ্ছি। এই সময়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী ও তার সহযোগীরা এসে অফিসে ঢুকে পড়ে। চেয়ার তুলে আছাড় মেরে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন,“সাংবাদিকতা করবি আর নেত্রীর ছবি অফিসে লাগাবিনা? এরপর তারা আমাকে দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে মাথায় আঘাত করে লাথ ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। এরপর আমার সহকর্মদের মারধোর করতে থাকে। যাওয়ার সময়ে আমাকে বলে ছবি লাগালে অফিস খুলবে । এই বলে অফিসে তালা মেরে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে।
জানা যায়, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রাাজশাহী কলেজ শাখা কমিটি গঠনের শুরু থেকেই বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এর আগেও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মারধোর করেছে সে। গত বছর ২৮ নভেম্বর রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজন আহত হয় এবং অধ্যক্ষ লাঞ্চিত হন। কলেজের দর্শন বিভাগে ব্যপক ভাংচুর চালানো হয়। দর্শন বিভাগের কম্পিউটার ভাঙ্গে রতন। তার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বিভাগের দরজা জানালা ভাংচুর করে।
সোমবার আরসিআরইউতে হামলা চালায় রতন। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ডেকে মিমাংশার ব্যবস্থা করেন। পরে এমন ঘটনা আর হবে না বলে অধ্যক্ষের সামনে আপস করে নেয় রতন ও তার সহযোগীরা।
আরসিআরইউ এর সভাপতি শামসুন্নাহার সুইটি বলেন, ঘটনা শুনে আমি এখানে কলেজে আসলে অধ্যক্ষ আমাদের সাথে কথা বলেন। ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে নিয়ে আমাদের আপোশ করিয়ে দেন। ছাত্রলীগ এতে করে আমাদের টিটকারী দিয়ে বলে, “আপনার আবার লিখেন যে ছাত্রলীগ চাঁদাদাবি করতে এসেছিল। আপনাদের কাজই তো তাই।” পরে আমি তাদের বলি যা ঘটেছে তাই লেখা হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগের এমন হামলা মেনে নেয়া যায়না। আমরা চায় জড়িতদের প্রত্যেককে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয় এবং সেই সাথে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি হতে তাদের পদ বাতিল করে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমি রাজশাহীতে ছিলাম না। তবে বিষয়টি শুনেছি। আমি সম্পাদক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা নেব।
অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা আজ যা করেছে তা অসন্তোষ জনক। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ডেকে মিমাংসা করেছি। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে কথা বলবো।
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে(আরসিআরইউ) ঢুকে ভাংচুর ও সাংবাদিকেদের মারধোর করেছে ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে হঠাতই এ হামলা করে বসে তারা। হুমকি দেয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই বেপোরয়া হয়ে এ হামলা করে তারা। হামলায় আহত হন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্পাদক ও দৈনিক সানশাইন পত্রিকার প্রতিবেদক ওবাইদুল্লাহ মিম, দপ্তর সম্পাদক ও পদ্মা নিউজের সাব এডিটর বাবর মাহমুদ এবং ইউনিটির নির্বাহী সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বরেন্দ্র এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদক বিদ্যুৎ।
আরসিআরইউ’র সদস্যরা জানান, গত রোবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরসিআরইউতে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় তারা আপত্তি জানায়। তাদের ভাষ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন আছে। তাদের সবকটি অফিসে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি আছে আরসিআরইউতে কেন নেই। এরপর তারা আরসিআরইউতে শেখ হাসিনার ছবি লাগাতে বলে। বিষয়টি নিয়ে আরসিআরইউ এর উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলে। তবে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। তবুও বঙ্গবন্ধুর ছবি রিপোর্টার্স ইউনিটে লাগানো নিয়ে অধ্যক্ষের পরামর্শ নিতে অপেক্ষা করেন সদস্যরা।
কিন্তু সোমবার আরসিআরইউতে এসে ছবি কেন লাগানো হয়নি তা জানতে চান রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসিক দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলীসহ আরও অন্তত ২০জন নেতাকর্মী। সেসময় অতিদ্রুত ছবি টাঙ্গানোর কথা বলে যায় তারা। এরই মাঘে উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নেয় আরসিআরইউ এর সদস্যরা। মাত্র বিশ মিনিটের ব্যবধানে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী তার ৭ জন সহযোগীর সাথে আরসিআরইউতে ঢুকে পড়ে। সেখানে থাকা মেয়ে সদস্যদের বাইরে বের করে দিয়ে ছেলে সদস্যদের মারধোর ও অফিস তছনছ করে।
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টর্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ওবাইদল্লাহ মিম বলেন, তাদের আপত্তির কথা ভেবে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমরা তাদের অবগত করি যে এটি আমাদের ব্যাক্তিগত সংগঠন না । বিষয়টি নিয়ে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলবো। এরপর ঘটনাটি আমাদের উপদেষ্টাদের মোবাইল ফোনে জানাচ্ছি। এই সময়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী ও তার সহযোগীরা এসে অফিসে ঢুকে পড়ে। চেয়ার তুলে আছাড় মেরে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন,“সাংবাদিকতা করবি আর নেত্রীর ছবি অফিসে লাগাবিনা? এরপর তারা আমাকে দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে মাথায় আঘাত করে লাথ ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। এরপর আমার সহকর্মদের মারধোর করতে থাকে। যাওয়ার সময়ে আমাকে বলে ছবি লাগালে অফিস খুলবে । এই বলে অফিসে তালা মেরে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে।
জানা যায়, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন আলী কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রাাজশাহী কলেজ শাখা কমিটি গঠনের শুরু থেকেই বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এর আগেও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মারধোর করেছে সে। গত বছর ২৮ নভেম্বর রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজন আহত হয় এবং অধ্যক্ষ লাঞ্চিত হন। কলেজের দর্শন বিভাগে ব্যপক ভাংচুর চালানো হয়। দর্শন বিভাগের কম্পিউটার ভাঙ্গে রতন। তার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বিভাগের দরজা জানালা ভাংচুর করে।
সোমবার আরসিআরইউতে হামলা চালায় রতন। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ডেকে মিমাংশার ব্যবস্থা করেন। পরে এমন ঘটনা আর হবে না বলে অধ্যক্ষের সামনে আপস করে নেয় রতন ও তার সহযোগীরা।
আরসিআরইউ এর সভাপতি শামসুন্নাহার সুইটি বলেন, ঘটনা শুনে আমি এখানে কলেজে আসলে অধ্যক্ষ আমাদের সাথে কথা বলেন। ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে নিয়ে আমাদের আপোশ করিয়ে দেন। ছাত্রলীগ এতে করে আমাদের টিটকারী দিয়ে বলে, “আপনার আবার লিখেন যে ছাত্রলীগ চাঁদাদাবি করতে এসেছিল। আপনাদের কাজই তো তাই।” পরে আমি তাদের বলি যা ঘটেছে তাই লেখা হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগের এমন হামলা মেনে নেয়া যায়না। আমরা চায় জড়িতদের প্রত্যেককে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয় এবং সেই সাথে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি হতে তাদের পদ বাতিল করে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমি রাজশাহীতে ছিলাম না। তবে বিষয়টি শুনেছি। আমি সম্পাদক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা নেব।
অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা আজ যা করেছে তা অসন্তোষ জনক। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ডেকে মিমাংসা করেছি। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে কথা বলবো।


মন্তব্যসমূহ