খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বচনের ভোট গোননার সময় ব্যপক ভাঙচুর,বোমাবাজি ও গুলির শব্দ!


খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও গণনার সময় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ভোট গণনার স্থান খুলনা জেলা স্টেডিয়াম। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার উর্ধ্বে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। একটি গ্র“পের পক্ষ থেকে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় রাত ১০টার দিকে নব নির্মিত জেলা স্টেডিয়ামের মূল ভবনে ভোট গণনা চলছিল। প্রায় ১২শ’ ভোট গণনা সম্পন্ন হলে হঠাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা স্টেডিয়ামের জানালায় ইট মারতে শুরু করে। মুহূর্তেই পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা স্টেডিয়াম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। র্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান বলেন, বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণের পর গণনা চলছিল। রাত ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভোট গণনা আপাতত বন্ধ রয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুর ই আলম বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনা চলছিল। কিছু দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। এতে ভোটগণনা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যালট সংগ্রহ করে ট্রেজারিতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শাস্তিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সর্বমোট ১৮৮৭ জন ভোটার ভোট দেন।
নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দু’টি প্যানেলের ২০ জন করে মোট ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। আলহাজ্ব মিজানুর রহমান-এর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন এমডিএ বাবুল রানা, চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ, এড. রজব আলী সরদার, শেখ মামুন আল হাসান নাজু, আলহাজ্ব মফিজুল ইসলাম টুটুল, মনিরুল ইসলাম মাসুম, ডাঃ মোঃ বজলুল হক, হালিমা ইসলাম, মোঃ মুনীর আহমেদ, মুর্শিদা আক্তার রনি, ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম, মোঃ আলী আকবর টিপু, ডাঃ মোঃ মাহমুদ হাসান, ফেরদৌস আলম চাঁন ফরাজী, মোস্তফা কামাল খোকন, আলহাজ্ব জোবায়ের আহমেদ খান জবা, আল জামাল ভূঁইয়া, সৈয়দ হাফিজুর রহমান, খান সাইফুল ইসলাম।
এদিকে এড. সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন অধ্যাপক শহিদুল হক মিন্টু, মোঃ জামাল হোসেন বাচ্চু, মোঃ রফিকুর রহমান রিপন, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, এড. সিকদার হাবিবুর রহমান, শাহ মোঃ জাকিউর রহমান, একেএম শাহজাহান কচি, জিএম রেজাউল ইসলাম, মোঃ তাহিদুল ইসলাম ঝান্টু, মিনা আজিজুর রহমান, মোঃ ফারুক আহমেদ, অচিন্ত কুমার ঘরামি, কেএম ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন রেজা খান মিঠু, মোঃ ইউসুফ আলী, শফিকুল আলম তুহিন, খোকন রায়, এম এম মেহেদী বিল্লাহ, মোঃ আব্দুল গফ্ফার। ( সমঢের খবর)

মন্তব্যসমূহ