শিবসা নিউজ ডেক্স:-
হিম হিম কুয়াশার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীত জাঁকিয়ে বসেছে। শীত উদযাপনে বাঙ্গালির জুড়ি নেই। পিঠা পায়েসের সমাহারে আর বিয়ের ধুমে ভুড়ি ভোজ লেগেই থাকে শীতে।য়ার কুয়াশামাখা ভোরে শরীরচর্চার কথা ভাবলেই ঘুম পায় যেন আরও বেশি। অন্যদিকে শীত যেমন আনন্দের, তেমনি রোগের দেখাও মিলে এসময়ই বেশি। এই রোগ থেকে ও ভুড়ি ভোজে ১২ টা বেজে যাওয়া ফিটনেসের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধূলা করতে হবে। তাই এই শীতেও প্রাণোচ্ছল হাসি–খুশি সুস্থ–স্বাভাবিক থাকতে প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন আর সচেতনতা। শীতে আরামের ঘুম ছেড়ে ওঠার আলসেমী আর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় এই দুই অজুহাতকে সরিয়ে রেখে চালিয়ে যেতে হবে শশীর চর্চা। তবে এ সময় মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা ।এ নিয়ে কিছু কথা:
উত্তরার ফিটনেস গোল জিমের ট্রেইনার তুনাজজিনা ইসলাম শীতের শরীর চর্চা নিয়ে বলেন, ব্যায়াম করলে কি কি সুফল আপনি পাবেন সেগুলোর কথা ভেবে মনকে তৈরি করুন বিছানা ছেড়ে উঠতে।মনে রাখবেন জবুথবু ভাবটা কাটানোই শীতে ব্যায়ামের প্রথম ধাপ। এরপরেই আসে পোশাকের কথা শীতে ব্যায়াম করার সময় গরম কাপড় পড়লেও তা যেন অতিরিক্ত ভারী না হয়।আর কিছুক্ষণ ব্যয়াম করার পরেই গরম লাগতে শুরু করে। তাই পোশাক হাল্কা হওয়ায় ভালো।
শুরুতেই ভারী ব্যায়াম না করে ধীরে ধীরে ব্যায়াম শুরু করবেন। প্রথমে ‘ওয়ার্ম আপ’করে নিতে ভুলবেন না।
শীতে যোগাব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছেন জয়সান ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস স্কুলের যোগ প্রশিক্ষক ও রেইকি মাস্টার হিলার কুশল রায় জয়।
অগ্নিসার ক্রিয়াঃ
যোগাভ্যাসের একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ হচ্ছে ক্রিয়া অভ্যাস করা। তার মধ্যে অগ্নিসার ক্রিয়া অন্যতম, বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে। এই ক্রিয়া চলাকালীন শরীর অগ্নির মতন অর্থ্যাৎ আগুনের মতন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তাই এর নাম অগ্নিসার ক্রিয়া।
যেভাবে করবেনঃ
১. মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। একটা লম্বা শ্বাস নিন।
২. এবার সম্পূর্ন শ্বাসটি ছেড়ে দমকে আটকিয়ে পেটকে দ্রুত ভিতরে টানুন ও পরক্ষণেই হালকা করুন। এই সময় কাঁধ দুটো একটু সামনের দিকে ঝুঁকে যাবে আর হাত দুটো দুই উরুতে থাকবে।
৩. অনবরত এই কাজটি চলতে থাকবে যতক্ষণ শ্বাস থাকে। আবার একটি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে আবার শুরু করুন।
৪. এভাবে ৩-৫ মিনিট করুন। প্রথমে গতি কম থাকবে পরের দিকে গতি বাড়াতে হবে।
৫. দম বন্ধ করে পেট ভিতরে ও বাহিরে নেওয়ার এই কাজটি হলো অগ্নিসার ক্রিয়া ।
উপকারিতা:
১. শরীরের মধ্যাংশ এত পরিমাণ গরম হয়ে যায় যে শীতকালেও আপনি ঘামতে থাকবেন।
২. তাই এই ক্রিয়ায় খুব দ্রুত ওজন কমে, শরীর খুবই অল্প সময়ই গরম হয়ে যায়।
৩. ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়, গ্যাসট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পেট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কমায়।
৪. প্রচন্ড শীতে মাত্র ৩ মিনিট অগ্নিসার আপনার ঘাম ঝড়াতে যথেষ্ট সময়। তাই শীতকালে যোগের এই ক্রিয়াটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যা অন্যকোন দিয়ে পূরনীয় নয়।
সাবধানতাঃ
১. ভরাপেটে করা যাবে না।
২. মাসিক চলাকালীন এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
৩. অগ্নিসার ক্রিয়ার পরে অনুলোম-বিলোম অভ্যাস করতে হবে।
৪. উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য মানা।
হিম হিম কুয়াশার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীত জাঁকিয়ে বসেছে। শীত উদযাপনে বাঙ্গালির জুড়ি নেই। পিঠা পায়েসের সমাহারে আর বিয়ের ধুমে ভুড়ি ভোজ লেগেই থাকে শীতে।য়ার কুয়াশামাখা ভোরে শরীরচর্চার কথা ভাবলেই ঘুম পায় যেন আরও বেশি। অন্যদিকে শীত যেমন আনন্দের, তেমনি রোগের দেখাও মিলে এসময়ই বেশি। এই রোগ থেকে ও ভুড়ি ভোজে ১২ টা বেজে যাওয়া ফিটনেসের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধূলা করতে হবে। তাই এই শীতেও প্রাণোচ্ছল হাসি–খুশি সুস্থ–স্বাভাবিক থাকতে প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন আর সচেতনতা। শীতে আরামের ঘুম ছেড়ে ওঠার আলসেমী আর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় এই দুই অজুহাতকে সরিয়ে রেখে চালিয়ে যেতে হবে শশীর চর্চা। তবে এ সময় মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা ।এ নিয়ে কিছু কথা:
উত্তরার ফিটনেস গোল জিমের ট্রেইনার তুনাজজিনা ইসলাম শীতের শরীর চর্চা নিয়ে বলেন, ব্যায়াম করলে কি কি সুফল আপনি পাবেন সেগুলোর কথা ভেবে মনকে তৈরি করুন বিছানা ছেড়ে উঠতে।মনে রাখবেন জবুথবু ভাবটা কাটানোই শীতে ব্যায়ামের প্রথম ধাপ। এরপরেই আসে পোশাকের কথা শীতে ব্যায়াম করার সময় গরম কাপড় পড়লেও তা যেন অতিরিক্ত ভারী না হয়।আর কিছুক্ষণ ব্যয়াম করার পরেই গরম লাগতে শুরু করে। তাই পোশাক হাল্কা হওয়ায় ভালো।
শুরুতেই ভারী ব্যায়াম না করে ধীরে ধীরে ব্যায়াম শুরু করবেন। প্রথমে ‘ওয়ার্ম আপ’করে নিতে ভুলবেন না।
শীতে যোগাব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছেন জয়সান ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস স্কুলের যোগ প্রশিক্ষক ও রেইকি মাস্টার হিলার কুশল রায় জয়।
অগ্নিসার ক্রিয়াঃ
যোগাভ্যাসের একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ হচ্ছে ক্রিয়া অভ্যাস করা। তার মধ্যে অগ্নিসার ক্রিয়া অন্যতম, বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে। এই ক্রিয়া চলাকালীন শরীর অগ্নির মতন অর্থ্যাৎ আগুনের মতন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তাই এর নাম অগ্নিসার ক্রিয়া।
যেভাবে করবেনঃ
১. মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। একটা লম্বা শ্বাস নিন।
২. এবার সম্পূর্ন শ্বাসটি ছেড়ে দমকে আটকিয়ে পেটকে দ্রুত ভিতরে টানুন ও পরক্ষণেই হালকা করুন। এই সময় কাঁধ দুটো একটু সামনের দিকে ঝুঁকে যাবে আর হাত দুটো দুই উরুতে থাকবে।
৩. অনবরত এই কাজটি চলতে থাকবে যতক্ষণ শ্বাস থাকে। আবার একটি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে আবার শুরু করুন।
৪. এভাবে ৩-৫ মিনিট করুন। প্রথমে গতি কম থাকবে পরের দিকে গতি বাড়াতে হবে।
৫. দম বন্ধ করে পেট ভিতরে ও বাহিরে নেওয়ার এই কাজটি হলো অগ্নিসার ক্রিয়া ।
উপকারিতা:
১. শরীরের মধ্যাংশ এত পরিমাণ গরম হয়ে যায় যে শীতকালেও আপনি ঘামতে থাকবেন।
২. তাই এই ক্রিয়ায় খুব দ্রুত ওজন কমে, শরীর খুবই অল্প সময়ই গরম হয়ে যায়।
৩. ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়, গ্যাসট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পেট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কমায়।
৪. প্রচন্ড শীতে মাত্র ৩ মিনিট অগ্নিসার আপনার ঘাম ঝড়াতে যথেষ্ট সময়। তাই শীতকালে যোগের এই ক্রিয়াটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যা অন্যকোন দিয়ে পূরনীয় নয়।
সাবধানতাঃ
১. ভরাপেটে করা যাবে না।
২. মাসিক চলাকালীন এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
৩. অগ্নিসার ক্রিয়ার পরে অনুলোম-বিলোম অভ্যাস করতে হবে।
৪. উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য মানা।


মন্তব্যসমূহ