কয়রা উপজেলায় মহারাজপুর ইউনিয়নে শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় কোমলমতি শিশুরা গাছ তলায় ক্লাস করছেন। অথচ উক্ত বিদ্যালয় থেকে বিগত ১২ বছরের মধ্যে ৫ম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনি পরিক্ষায় এক জন ছাত্র/ছাত্রী ও ফেল করেনি। এছাড়া উক্ত বিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬৮ জন ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তি লাভ সহ ৬০ ভাগ এ+ এবং শতভাগ পাস করেছে। উক্ত বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মাঠে গাছ তলায় অর্ধ শতাধীক ছাত্র/ছাত্রী প্লাষ্টিকের বস্তায় মাটিতে বিছিয়ে তার উপর বসে ক্লাস করছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিরুন্নেছার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী পড়াশোনা করে। রুম স্বল্পতার কারনে প্রচন্ড রোদের মধ্যে প্রতিদিন ৪০/৫০ জন ছাত্র/ ছাত্রীকে মাটিতে প্লাষ্টিকের বস্তা বিছিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান ১৮/১৯ বছর আগে দুই রুম বিশিষ্ট টিনসেট ঘরের অবস্থা খুবই জরাজিন্ন সে কারনে বৃষ্টি হলেই পানি পড়ায় ঐসময় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়না। এয়াড়া ৩ টি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদেও ২ রুমে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না বিধায় স্কুল কমিটির অনুমতিক্রমে মাঠে গাছ তলায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন জানান, শ্রীরামপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় ২০১৩ সালের পূর্বে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা অবস্থায় ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনি পরিক্ষায় শতভাগ পাশ সহ ৪ বছরে ২১জন বৃত্তি লাভ করায় খুলনা জেলার কয়রা থানায় শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের ৬৮ জন ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তি লাভ করেন এবং কখনও ফেল করেন নাই। সে জন্য তিনি এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে একটি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করে ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলার শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যালয়টি সম্পার্কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম নাজমুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়ের রেজাল্ট তার উপজেলার মধ্যে খুবই ভাল এবং ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি শতভাগ। তিনি বলেন, প্রতি বছর এখান থেকে অধীক সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তিলাভ এবং এ+ সহ শতভাগ পাশ করায় জেলার মধ্যে কয়রা উপজেলার সুনাম অক্ষুন্ন রাখে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের দুরাবস্থার কথা অবগত হওয়ার পর ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠিয়েছেন বলে জানান। তবে ভবন না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিরুন্নেছার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী পড়াশোনা করে। রুম স্বল্পতার কারনে প্রচন্ড রোদের মধ্যে প্রতিদিন ৪০/৫০ জন ছাত্র/ ছাত্রীকে মাটিতে প্লাষ্টিকের বস্তা বিছিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান ১৮/১৯ বছর আগে দুই রুম বিশিষ্ট টিনসেট ঘরের অবস্থা খুবই জরাজিন্ন সে কারনে বৃষ্টি হলেই পানি পড়ায় ঐসময় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়না। এয়াড়া ৩ টি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদেও ২ রুমে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না বিধায় স্কুল কমিটির অনুমতিক্রমে মাঠে গাছ তলায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন জানান, শ্রীরামপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় ২০১৩ সালের পূর্বে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা অবস্থায় ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনি পরিক্ষায় শতভাগ পাশ সহ ৪ বছরে ২১জন বৃত্তি লাভ করায় খুলনা জেলার কয়রা থানায় শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের ৬৮ জন ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তি লাভ করেন এবং কখনও ফেল করেন নাই। সে জন্য তিনি এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে একটি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করে ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলার শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যালয়টি সম্পার্কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম নাজমুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়ের রেজাল্ট তার উপজেলার মধ্যে খুবই ভাল এবং ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি শতভাগ। তিনি বলেন, প্রতি বছর এখান থেকে অধীক সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তিলাভ এবং এ+ সহ শতভাগ পাশ করায় জেলার মধ্যে কয়রা উপজেলার সুনাম অক্ষুন্ন রাখে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের দুরাবস্থার কথা অবগত হওয়ার পর ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠিয়েছেন বলে জানান। তবে ভবন না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ