খুলনা ৬, জামায়াত নাকি বিএনপির?

 মোঃ আসাদুল ইসলাম:- খুলনা ৬ (পাইকগাছা-কয়রা) ৪ দলীয় জোটের কে পাবেন নমিনেশন জামায়াত নাকি বিএনপি? জামায়াতের দাবী খুলনা ৬ তাদের গোল্ডেন আসন। তার কোন ভাবে বিএনপি কে ছাড় দিতে নারাজ। এদিকে বিএনপির দাবী বিগত দিনে তারা জোটগত কারনে জামায়াত কে ছাড় দিলেো এবার তারা ছাড় দিবেনা। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারনে তাদের সাংগঠনি অবস্থা নড়বড়ে। সেদিক থেকে বিএনপির সংগঠন সুসংগঠিত। ফলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা আর এ আসনটি জোটের শরিক জামায়াতকে ছেড়ে দিতে চায় না।
      বিগত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা স ম বাবর আলী। ১৯৭৯ সালে বিএনপির শেখ রাজ্জাক আলী এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মোমিন উদ্দীন আহমেদ নির্বাচিত হন। এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন জামায়াতের শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ মো. নূরুল হক জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে আবার জামায়াতের শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস সংসদ সদস্য হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সোহরাব আলী সানা এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই দলের শেখ মো. নূরুল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে আ'লীগ ও বিএনপির সংগঠন বেশ মজবুত সে তুলনায় জামায়াতের সংগঠন নড়বড়ে কিন্তু জামায়াত সেটা মানতে নারাজ।
     ১৯৭৯ সালে সাবেক স্পিকার এ্যাডঃ শেখ রাজ্জাক আলীর পর এ আসন থেকে কোন বিএনপি'র কেউ নমিনেশন পায়নি। ক্ষমতার স্বাদ পাইনি বিএনপি নেতা কর্মিরা। তাই তারা এবার কোন ভাবে ছাড়দিবেনা। বিএনপির যেকোন প্রার্থী চাই স্থানীয় নেতা কর্মীরা।
বিএনপির কয়েকজন নেতা আগামি সংসদ নির্বাচনে নমিনেশনের জন্য জোর লবিং এবং গনসংযোগ করছে।
    তাদের মধ্যে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ আঃ মজিদ তিনি নিজ উপজেলা পাইকগাছার বিভিন্ন ইউনিয়নে নেতা-কর্মিদের নিয়ে গনসংযোগ করছেন।
     অপর নমিনেশন প্রার্থী কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম তিনিও নিজ উপজেলা কয়রার মধ্যে গনসংযোগ করছেন।
     বসেনেই বিএনপির আরেক প্রভাবশালী নেতা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম মন্টু। তিনি বেশির ভাগ সময় খুলনায় থাকলেও দু'উপজেলায় তার বেশ নেতা-কর্মী আছে।
      বিএনপি থেকে আরো একজন তরুন উদিয়মান নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক তিনিও বেশ গনসংযোগ করেছেন এবং কেন্দ্র লবিং চালাচ্ছেন বলে যানাগেছে।
      অন্যদিকে বসেনেই জামায়াত তারা গোপনে গোপনে তাদের সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামি নির্বাচনে তারাযেন নমিনেশন পায় তার জন্য সংগঠনকে চাঙ্গা করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতা যানিয়েছেন। জামায়াতের দু'বারের সাবেক সংসদ অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বার্ধক্যজনীত কারনে দলকে আর সময় দিতে পারেনা বলেও যানাগেছে এবার তার খুলনা মহানগরের জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কে সামনে নিয়ে এগুচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
     শেষ হাসি কে হাসবেন সেটা বোঝা যাবে আরোপরে। পারবে কি বিএনপি?  নাকি বরাবরের ন্যায় জামায়াতকে ছাড় দিতে হবে বিএনপির?

মন্তব্যসমূহ