ঐক্য হয়েও হলনা! মুক্তিযোদ্ধাদের অনড় আপত্তিতে :পাইকগাছার লক্ষীখোলা হাটের জমি বিরোধ মিমাংসা করতে ব্যর্থ দু'সংসদ

পাইকগাছা প্রতিনিধি :- পাইকগাছার লক্ষীখোলায় হাটের জমির বিরোধ নিয়ে শেষ মুহুর্তে ঐক্য হয়েও ঐক্য হলনা! বিগত কয়েক বছর ধরে চলা বিরোধ মিমাসার জন্য ব্যপক উদ্দোগ গ্রহন করা হলেও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।এমন কি স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান সংসদের নেয়া উদ্দোগ ব্যর্থ হয়েছে একাধিকবার। ইগো সমস্যায় উভয় গ্রুপ অনড়। মঙ্গলবারে পাইকগাছা - কয়রার সংসদ সদস্যোর উপস্থিতিতে হাটের পক্ষে শফি গাজী, আফসার মোল্লা গং ও প্রতিপক্ষ-টুটুল কাগজী দীর্ঘক্ষন তাদের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য তুলে ধরেণ। কয়েক ঘন্টা যুক্তি- তর্কের পর হাটের জমির পরিবর্তে পাইকগাছা -কয়রা সড়কের ধারে ২০১১সালের সাবেক এমপি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা ও নিজের ফর্মুলানুযায়ী টুটুল কাগজীদের ৫৪ ও পরে ৪ শতক যুক্ত করে মোট-৫৮ শতক জমিতে বিকল্প হাট স্থাপনের পূর্বের প্রস্তাবে এমপি আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বাস্তবায়নের জন্য দিক নির্দেশনা দেন।তিনি আইন আদালতের উর্ধে উঠে শান্তিপুর্ন সমাধানের জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে হাটের স্বপ্ন পুরনে এ প্রস্তার দিলে এক পর্যায়ে হাটের পক্ষে শফি গাজী, আফসার মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা গংরা টুটুল কাগজীর কথা মতো ৫৮ শতক জমি হাটের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার শর্তে এ প্রস্তাবে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত জেলা আ'লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক গাজী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের অনড় আপত্তির কারনে এ প্রস্তার ভেস্তে যায়।এর আগে নানা তর্ক -বিতর্কের পর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু এমপিকে উদ্যেশ্য করে হাটের জায়গায় হাট উদ্ভোধনের অনুরোধ করলেও তিনি অপরাগতা প্রকাশ করে তিনি স্থায়ী সমাধানের জন্য দু পক্ষকে ঐক্যমতে পৌছানোর কথা বলেন এবং একপর্যায়ে কোন মিমাংশা ছাড়াই এ সভাটি শেষ হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, আলহাজ্ব মনছুর আলী গাজী, এমপি পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিনসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ। উল্লেখ্য হাটের জমি নিয়ে বর্তমানে টুটুল কাগজী গংদের হাইকোর্টে দায়ের করা আপিল মামলায় আদালত দখল স্বত্বের ভিত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ