অস্ত্র ঠেকিয়ে রাবি ছাত্রের ল্যাপটব ও মোবাইল লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়া এলাকার হালিমা ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. রায়হান উদ্দিন ফকির বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। রোববার তার থিসিস জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। ল্যাপটপ লুট হওয়ায় থিসিস জমা দিতে পারেননি তিনি।
ঘটনার বরাত দিয়ে রায়হান বলেন, “গত ১১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক দুইটার দিকে আমার রুমের দরজায় একজন নক করে পাভেল পরিচয় দেয়। পাভেল আমার বিভাগের ছোট ভাই হওয়ায় আমি দরজা খুলে দেই। দরজা খোলার সাথে সাথে আমার বুকে বন্দুক ধরে জোর করে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় অর্ধ মুখ ঢাকা দুই জন। তারা আমাকে বলে ‘চিৎকার করলে লাশ ফেলে দিব’। পরে আমাকে ল্যাপটপ বের করতে বলে।”
“আমি ভয়ে মুখ ফুটে কিছুই বলতে সাহস পাইনি। ঘটনার সময় তাদের একজন কাকে যেন ফোন করে বলে, ‘পাভেল তোরা ভিতরে আয়’। কিন্তু কেউ আসে না। তারা আমার একটি ল্যাপটপ ও একটি স্যামস্যাঙ মোবাইল নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন রায়হান। তবে ঘটনায় সম্পৃক্তদের মধ্যে হাসিব নামে একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী রায়হান।
কীভাবে শনাক্ত করলেন জানতে চাইলে রায়হান বলেন, “হাসিব এর আগেও সোহাগ নামে আমাদের মেসের এক শিক্ষার্থীর কাছে একাধিকবার এসেছিল। তার শীতের পোশাক, দৈহিক গঠন, উচ্চতা, কণ্ঠস্বর এসব মিলিয়ে তাকে শনাক্ত করতে পেরেছি।”
জানতে চাইলে মেস মালিক সালমা জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির কারণে মেসে তো মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী আছে। এই সুযোগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা মুখোশ পরা ছিল বলে আমি শুনেছি। আর রায়হান নাকি একজনকে শনাক্ত করেছে। ঘটনার পরদিন পুলিশ এসেছিল। হয়তো মামলা করা হয়েছে।” তবে মেস কর্তৃপক্ষ আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি বাইরে থাকায় তেমন কিছু বলতে পারছি না। তবে যতটুকু করা দরকার আমি করব।”
বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক আকতার হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসিব নামে একজনকে সন্দেহ করছে। হাসিবের পরিবারের সাথে কথা বলা হয়েছে। আগামীকাল তার পরিবার থানায় আসবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মন্তব্যসমূহ