নিউজ ডেক্স:- প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর আমরণ অনশন কর্মূসচি স্থগিত করেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছাঁন শিক্ষকদের কাছে। অনশনরত শিক্ষকদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান তারা।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি খুব শিগগির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।
শিক্ষকেরা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, রোববার থেকে তাঁরা ক্লাসে ফিরে যাবেন।
টানা ছয়দিনের অনশন শেষে এমপিওভুক্তির এমন খবরে আনন্দের বন্যা বইছে শিক্ষকদের মধ্যে। কেউ কেউ জয়বাংলা। মা জননী হাসিনা হাসিনা বলে স্লোগান দেন। কেউ কেউ আনন্দে কান্না করেন।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারকে শরবত পান করাচ্ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হোসেন। ছবি: বুলবুল আহমেদ
দৈনিকশিক্ষাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় নন-এমপিও শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে অনশন স্থগিত করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছেঁ দিয়েছেন।’ ‘তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির বিষয়টি জেনেছেন এবং এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে আসা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন অনশনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। ছবি: বুলবুল আহমেদ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা অনশন প্রত্যাহার করলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২) জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা এগারোটা বিশ মিনিটে অনশনরত শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিদেশ যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী তাকে (শিক্ষামন্ত্রীকে) বলে গেছেন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে, শেষ হলেই এমপিওভুক্তির উদোগ নেয়া হবে। এটা আমাদের বিজয়’।’ এসময় শিক্ষকেরা না না বলে মন্ত্রীর আশ্বাস নাকচ করে দেন। অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অনশনরত শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ঘোষণা শুনতে চান তারা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কথায় আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস নেই। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে নীতিমালার কথা শুনে আসছেন। মন্ত্রীর বিভ্রান্তকর তথ্যে ও আশ্বাসে আর বিশ্বাস করেন না মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকেরা। তাই তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান।
অনশন করতে আসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রবীন বেসরকারি শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক ও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তার ভুল পরামর্শে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রত্যাখান হতে হয়।
পাঁচ হাজারের কিছু বেশি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নন-এমপিও অবস্থায় ১৫ থেকে ২৪ বছর যাবত পাঠদান করাচ্ছেন। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।
এমপিওর দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৬ষ্ঠ দিনের অনশনে একশোর বেশি শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে স্যালাইন লাগিয়ে অনশন কর্মসূচিতে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা।
ইতোপূর্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, সরকারি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষরা এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন ২০১৩ সালে। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ পিপার স্প্রে ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ন্যাম ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি করতে গেলে মানিক মিয়া এভিনিউর পশ্চিম পাশে পুলিশ বাধা দেয়। সেই বাধা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে পিছু হটেন শিক্ষকরা। সোবহানবাগের প্রিন্স প্লাজার সামনে অবস্থান করতে চাইলে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে অবস্থান করে। শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার পর শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন।এই আশ্বাসে পেরিয়ে যায় দুই বছর।
এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রথমে শহীদ মিনারে সমাবেশ এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন পালন করে ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’। সমাবেশ থেকে বলা হয়, সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে এই আন্দোলন চলবে। সরকার আবারও এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেয়। ওই আশ্বাসের পর কেটে যায় একবছর। এরপর ২০১৬ সালে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আবার রাজপথে নামেন শিক্ষকরা। ওই সময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অন্তর্ভুক্তি হওয়ার আশ্বাস দেয় সরকার। ওই আশ্বাসের পর শিক্ষকরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি আবার অবস্থান নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। প্রায় ২৮ দিন অবস্থান করার পর শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ফিরে যান বিদ্যালয়ে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও এমপিও প্রসঙ্গ না আসার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। (দৈনিক শিক্ষা)
শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর আমরণ অনশন কর্মূসচি স্থগিত করেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছাঁন শিক্ষকদের কাছে। অনশনরত শিক্ষকদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান তারা।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি খুব শিগগির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।
শিক্ষকেরা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, রোববার থেকে তাঁরা ক্লাসে ফিরে যাবেন।
টানা ছয়দিনের অনশন শেষে এমপিওভুক্তির এমন খবরে আনন্দের বন্যা বইছে শিক্ষকদের মধ্যে। কেউ কেউ জয়বাংলা। মা জননী হাসিনা হাসিনা বলে স্লোগান দেন। কেউ কেউ আনন্দে কান্না করেন।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারকে শরবত পান করাচ্ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হোসেন। ছবি: বুলবুল আহমেদ
দৈনিকশিক্ষাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় নন-এমপিও শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে অনশন স্থগিত করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছেঁ দিয়েছেন।’ ‘তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির বিষয়টি জেনেছেন এবং এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে আসা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন অনশনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। ছবি: বুলবুল আহমেদ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা অনশন প্রত্যাহার করলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২) জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা এগারোটা বিশ মিনিটে অনশনরত শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিদেশ যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী তাকে (শিক্ষামন্ত্রীকে) বলে গেছেন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে, শেষ হলেই এমপিওভুক্তির উদোগ নেয়া হবে। এটা আমাদের বিজয়’।’ এসময় শিক্ষকেরা না না বলে মন্ত্রীর আশ্বাস নাকচ করে দেন। অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অনশনরত শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ঘোষণা শুনতে চান তারা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কথায় আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস নেই। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে নীতিমালার কথা শুনে আসছেন। মন্ত্রীর বিভ্রান্তকর তথ্যে ও আশ্বাসে আর বিশ্বাস করেন না মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকেরা। তাই তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান।
অনশন করতে আসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রবীন বেসরকারি শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক ও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তার ভুল পরামর্শে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রত্যাখান হতে হয়।
পাঁচ হাজারের কিছু বেশি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নন-এমপিও অবস্থায় ১৫ থেকে ২৪ বছর যাবত পাঠদান করাচ্ছেন। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।
এমপিওর দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৬ষ্ঠ দিনের অনশনে একশোর বেশি শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে স্যালাইন লাগিয়ে অনশন কর্মসূচিতে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা।
ইতোপূর্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, সরকারি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষরা এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন ২০১৩ সালে। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ পিপার স্প্রে ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ন্যাম ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি করতে গেলে মানিক মিয়া এভিনিউর পশ্চিম পাশে পুলিশ বাধা দেয়। সেই বাধা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে পিছু হটেন শিক্ষকরা। সোবহানবাগের প্রিন্স প্লাজার সামনে অবস্থান করতে চাইলে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে অবস্থান করে। শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার পর শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন।এই আশ্বাসে পেরিয়ে যায় দুই বছর।
এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রথমে শহীদ মিনারে সমাবেশ এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন পালন করে ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’। সমাবেশ থেকে বলা হয়, সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে এই আন্দোলন চলবে। সরকার আবারও এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেয়। ওই আশ্বাসের পর কেটে যায় একবছর। এরপর ২০১৬ সালে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আবার রাজপথে নামেন শিক্ষকরা। ওই সময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অন্তর্ভুক্তি হওয়ার আশ্বাস দেয় সরকার। ওই আশ্বাসের পর শিক্ষকরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি আবার অবস্থান নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। প্রায় ২৮ দিন অবস্থান করার পর শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ফিরে যান বিদ্যালয়ে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও এমপিও প্রসঙ্গ না আসার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। (দৈনিক শিক্ষা)


মন্তব্যসমূহ