দুর্গাপুর প্রতিনিধি :-
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পথসভা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পথসভা শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের নেতা আব্দুল মজিদের সমর্থকদের ব্যানার ফেস্টুন ও দোকান ভাংচুর করে। পুলিশী বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভাংচুরের সময় বাধা দিতে গিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আলম আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিছিল বের করে সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থকরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদা মাসুম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাহাদত হোসেন, বর্তমান সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফের নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মেডিকেল মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিতে থাকেন।
ওই সময় পৌর ভবনের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি থানা মোড়ের সামনে দিয়ে উপজেলা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় সংসদ সদস্য দারার সমর্থকরা খবর পেয়ে পথসভা শেষ করে পুণরায় মিছিল নিয়ে উপজেলা মোড়ে অবস্থান নেয়া মজিদ ও তোফাজ্জল সমর্থকদের ধাওয়া করে। তবে পুলিশ তার আগেই উপজেলা পরিষদের ভিতর দিয়ে মজিদ ও তোফাজ্জল সমর্থকদের থানা মোড় হয়ে সিংগা বাজারে পার করে দেয়। ফলে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
এরপর সাংসদ দারার সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে থাকে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে মজিদের পক্ষের উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ সভাপতি নুর ইসলামের ওষুধের দোকান ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আলম জানান, উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা শান্তিপুর্ন ভাবে মিছিল ও পথসভা করছিল। কিছু উত্তেজিত লোকজন মেডিকেল মোড় থেকে পুণরায় মিছিল নিয়ে উপজেলা মোড়ের দিকে যায়। এ সময় কয়েকটি ব্যানার ফেস্টুন ও একটি দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমরা একটি মিছিল শেষে মেডিকেল মোড়ে শান্তিপুর্ন ভাবে পথসভা করতে থাকি। এ সময় খবর আসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়িতে আব্দুল মজিদ ও তোফাজ্জলের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এসে ঢিল ছুড়েছে। এ ধরনের খবরে উত্তেজিত লোকজন মজিদ ও তোফাজ্জলের সমর্থকদের ধাওয়া করে। তবে তাদের না পেয়ে রাস্তায় থাকা তাদের ব্যানার ফেস্টুন ও মজিদের এক সমর্থকের দোকান ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের বাড়িতে ঢিল ছুড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার প্রশ্নই আসেনা। যারা এসব অপ্রচার ছড়িয়েছে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য এসব রটিয়েছে। দুর্গাপুরের মানুষ সব জানে, সব বুঝে।
তিনি আলো বলেন, আমরাও আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শান্তিপুর্ন ভাবে মিছিল করে পৌর ভবনের সামনে এসে পথসভা করছিলাম। এমন সময় সংবাদ পায় আমাদের ব্যানার ফেস্টুন ও আমাদের এক কর্মীর দোকান ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। আমি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পথসভা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পথসভা শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের নেতা আব্দুল মজিদের সমর্থকদের ব্যানার ফেস্টুন ও দোকান ভাংচুর করে। পুলিশী বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভাংচুরের সময় বাধা দিতে গিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আলম আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিছিল বের করে সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থকরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদা মাসুম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাহাদত হোসেন, বর্তমান সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফের নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মেডিকেল মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিতে থাকেন।
ওই সময় পৌর ভবনের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি থানা মোড়ের সামনে দিয়ে উপজেলা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় সংসদ সদস্য দারার সমর্থকরা খবর পেয়ে পথসভা শেষ করে পুণরায় মিছিল নিয়ে উপজেলা মোড়ে অবস্থান নেয়া মজিদ ও তোফাজ্জল সমর্থকদের ধাওয়া করে। তবে পুলিশ তার আগেই উপজেলা পরিষদের ভিতর দিয়ে মজিদ ও তোফাজ্জল সমর্থকদের থানা মোড় হয়ে সিংগা বাজারে পার করে দেয়। ফলে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
এরপর সাংসদ দারার সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে থাকে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে মজিদের পক্ষের উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ সভাপতি নুর ইসলামের ওষুধের দোকান ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আলম জানান, উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা শান্তিপুর্ন ভাবে মিছিল ও পথসভা করছিল। কিছু উত্তেজিত লোকজন মেডিকেল মোড় থেকে পুণরায় মিছিল নিয়ে উপজেলা মোড়ের দিকে যায়। এ সময় কয়েকটি ব্যানার ফেস্টুন ও একটি দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমরা একটি মিছিল শেষে মেডিকেল মোড়ে শান্তিপুর্ন ভাবে পথসভা করতে থাকি। এ সময় খবর আসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়িতে আব্দুল মজিদ ও তোফাজ্জলের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এসে ঢিল ছুড়েছে। এ ধরনের খবরে উত্তেজিত লোকজন মজিদ ও তোফাজ্জলের সমর্থকদের ধাওয়া করে। তবে তাদের না পেয়ে রাস্তায় থাকা তাদের ব্যানার ফেস্টুন ও মজিদের এক সমর্থকের দোকান ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের বাড়িতে ঢিল ছুড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার প্রশ্নই আসেনা। যারা এসব অপ্রচার ছড়িয়েছে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য এসব রটিয়েছে। দুর্গাপুরের মানুষ সব জানে, সব বুঝে।
তিনি আলো বলেন, আমরাও আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শান্তিপুর্ন ভাবে মিছিল করে পৌর ভবনের সামনে এসে পথসভা করছিলাম। এমন সময় সংবাদ পায় আমাদের ব্যানার ফেস্টুন ও আমাদের এক কর্মীর দোকান ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। আমি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।




মন্তব্যসমূহ