পাইকগাছায় বিজয় দিবসে পকিস্তানি আদলে পতাকা উত্তলনের ঘটনায় শাহীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিগ্যাল নুটিশ প্রেরণ


আলাউদ্দীন রাজা, পাইকগাছা ॥পাইকগাছায় বিজয় দিবসে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় অনলাইন পত্রিকা এবং প্রিন্ট মিডিয়া  ধারাবাহিকভাবে রিপোর্টের ফলে একটি মানবাধিকার সংগঠণ আইনজীবীর মাধ্যমে শাহীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী সহ ৮টি দপ্তরে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছে। অপর দিকে, শাহীনের সহযোগী আলতাফ মাস্টার পত্রিকা অফিসে মোবাইল সহ বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল করে গুমরিয়ে বেড়াচ্ছে। জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার পূর্ব গজালিয়া গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের পুত্র কথিত ডাঃ আবু রাইহান শাহীন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে চৌমুহনী বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাকিস্তানি আদলে চাঁদ-তাঁরা খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দল থেকে শাহীনকে সাময়িক বহিস্কার করে। উক্ত ঘটনা ধারাবাহিকভাবে দৈনিক আমার একুশ পত্রিকায় ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়ে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে একটি মানবাধিকার সংগঠণ মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কথিত ডাঃ আবু রাইহান শাহীনকে দেশের স্বাধীনতা, সারভৌমত্ব অস্বীকার বা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ উল্লেখ করে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, পুলিশের আইজিপি সহ ৮টি দপ্তরে প্রেরণ করেছে এ্যাডঃ এফএমএ রাজ্জাক। সোমবার আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এফএমএ রাজ্জাক বলেন, বিজয় দিবসের দিনে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের ধৃষ্টতা শাহীন কিভাবে পেলো তার সহযোগীরা সাংবাদিক সহ বিভিন্ন লোকজনদের সন্দেহ করে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এটা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের হুমকি স্বরূপ। তার বিরুদ্ধে এখনও সরকার কোন মামলা বা গ্রেপ্তার করেনি সে জন্য অত্র লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে, শাহীন ও তার সহযোগী আলতাফ মাস্টারের বিরুদ্ধে রবিবার আমার একুশ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয় এবং পত্রিকা বিভিন্ন লোককে ফটোকপি করতে দেখা যায়। ঐ দিন নাম, ঠিকানা বিহিনভাবে আলতাফ মাস্টারের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তেলে-বেগুনে উঠে আমার একুশ পত্রিকা অফিসে ফোন করে মামলার হুমকি দেয়। এখানে প্রমাণিত হয় “ঠাকুর ঘরে কে-রে, আমি কলা খাই না”।

মন্তব্যসমূহ