নিউজ ডেস্ক:- খলিলুর
রহমান (৬০)। পেশায় ভাজা বিক্রেতা। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানায়। ১৬ বছর বয়সে রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলেন। ভালোলেগে যায় তার। সিদ্ধান্ত নেন এ শহরের থেকে যাওয়ার। ব্যাস, ঘর-সংসার করে এখানেই থেকে যান তিনি।
জীবনের ৪৪টি বছর তিনি কাটিয়েছেন রাজশাহীতে। এরমধ্যে ২৮ বছর ধরে তিনি মুখরোচক ভাজা বিক্রি করে নগরীতে নিজের একটি আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন। নগরীর দড়িখরবোনা মোড়ে প্রতিদিন বারোভাজার পশরা সাজিয়ে বসেন তিনি। থাকেন ওই এলাকাতেই।
খলিলুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে প্রথমদিকে এসে রিকশা ও বিস্কুটের দোকানে কাজ শুরু করেন। তবে সেই আয়ে সংসার চালান সম্ভব হচ্ছিল না তার। তাই সিদ্ধান্ত নেন নিজে থেকে কোন ব্যবসা করবেন। স্বল্প পূজিতে শুরু করার মতো ব্যবসা বলতে তার কাছে মনে হয় মুখরোচক খাবার ভাজাই হবে শ্রেয় ব্যবসা। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসায় যা আয় হয় তা দিয়ে খলিলুর রহমানের সংসার ভালোই চলছে।
আশেপাশের মানুষের কাছে খলিলুর রহমানের ভাজা বেশ জনপ্রিয়। বেশিরভাগ ক্রেতার কাছে চাচা নামে পরিচিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাজা খেতে আসা জিসান বলেন, সন্ধ্যার পরে কোচিং শেষ করে বন্ধুরা মিলে চাচার হাতে ভাজা খাই প্রায় তিন বছর ধরে। আমাদের মতো আরো অনেকেই আসে এখানে ভাজা খেতে।
রাতে ব্যবসা শেষ করে রাকিবুল হোসেন প্রায় প্রতিদিনই তার বাসার সবার জন্য এখান থেকে ভাজা নিয়ে যান। রাকিবুল হোসেন বলেন, চাচা এখানে বহু বছর হতেই ব্যবসা করছেন। তার হাতের ভাজার স্বাদ একটু ভিন্ন। বাসার সবাই খুব পছন্দ করে।
খলিলুর রহমান বলেন, ভাজার প্রায় সব কাঁচামালই আমি নিজ হাতে ভাজি। মসলাও নিজ হাতেই তৈরি করি। তা না হলে ভাজায় স্বাদ হবে না। আর গ্রাহকও আসবে না।
তার তিন সন্তানদের মধ্যে সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। এক সময় সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত থাকলেও এখন তারা সকলেই আয়-ইনকাম করতে শিখেছে। এখন তাই নিশ্চিন্ত জীবন পার করছেন তিনি।
খলিলুর রহমান বলেন, সন্তানেরা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াইছে। এখন আর কোন চাওয়া পাওয়া নাই। বাকি জীবনটা এভাবে পার করেতে পারলেই চলে।
রহমান (৬০)। পেশায় ভাজা বিক্রেতা। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানায়। ১৬ বছর বয়সে রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলেন। ভালোলেগে যায় তার। সিদ্ধান্ত নেন এ শহরের থেকে যাওয়ার। ব্যাস, ঘর-সংসার করে এখানেই থেকে যান তিনি।
জীবনের ৪৪টি বছর তিনি কাটিয়েছেন রাজশাহীতে। এরমধ্যে ২৮ বছর ধরে তিনি মুখরোচক ভাজা বিক্রি করে নগরীতে নিজের একটি আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন। নগরীর দড়িখরবোনা মোড়ে প্রতিদিন বারোভাজার পশরা সাজিয়ে বসেন তিনি। থাকেন ওই এলাকাতেই।
খলিলুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে প্রথমদিকে এসে রিকশা ও বিস্কুটের দোকানে কাজ শুরু করেন। তবে সেই আয়ে সংসার চালান সম্ভব হচ্ছিল না তার। তাই সিদ্ধান্ত নেন নিজে থেকে কোন ব্যবসা করবেন। স্বল্প পূজিতে শুরু করার মতো ব্যবসা বলতে তার কাছে মনে হয় মুখরোচক খাবার ভাজাই হবে শ্রেয় ব্যবসা। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসায় যা আয় হয় তা দিয়ে খলিলুর রহমানের সংসার ভালোই চলছে।
আশেপাশের মানুষের কাছে খলিলুর রহমানের ভাজা বেশ জনপ্রিয়। বেশিরভাগ ক্রেতার কাছে চাচা নামে পরিচিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাজা খেতে আসা জিসান বলেন, সন্ধ্যার পরে কোচিং শেষ করে বন্ধুরা মিলে চাচার হাতে ভাজা খাই প্রায় তিন বছর ধরে। আমাদের মতো আরো অনেকেই আসে এখানে ভাজা খেতে।
রাতে ব্যবসা শেষ করে রাকিবুল হোসেন প্রায় প্রতিদিনই তার বাসার সবার জন্য এখান থেকে ভাজা নিয়ে যান। রাকিবুল হোসেন বলেন, চাচা এখানে বহু বছর হতেই ব্যবসা করছেন। তার হাতের ভাজার স্বাদ একটু ভিন্ন। বাসার সবাই খুব পছন্দ করে।
খলিলুর রহমান বলেন, ভাজার প্রায় সব কাঁচামালই আমি নিজ হাতে ভাজি। মসলাও নিজ হাতেই তৈরি করি। তা না হলে ভাজায় স্বাদ হবে না। আর গ্রাহকও আসবে না।
তার তিন সন্তানদের মধ্যে সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। এক সময় সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত থাকলেও এখন তারা সকলেই আয়-ইনকাম করতে শিখেছে। এখন তাই নিশ্চিন্ত জীবন পার করছেন তিনি।
খলিলুর রহমান বলেন, সন্তানেরা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াইছে। এখন আর কোন চাওয়া পাওয়া নাই। বাকি জীবনটা এভাবে পার করেতে পারলেই চলে।

মন্তব্যসমূহ